1. arafatrony080@gmail.com : Arafat Rony : Arafat Rony
  2. didargfx@gmail.com : Didar Ahmed : Didar Ahmed
  3. sunajur1971@gmail.com : Foysal Chowdhury : Foysal Chowdhury
  4. sojibroyhriday@gmail.com : Hridoy Roy : Hridoy Roy
  5. hridoynews3355@gmail.com : Hridoypress : Hridoy Ahmed
  6. jashimshek932@gmail.com : Md Jashim Uddin : Md Jashim Uddin
  7. talukderkajal@gmail.com : Kajal Talukder : Kajal Talukder
  8. mahabubalama1993@gmail.com : Mahabub Alam : Mahabub Alam
  9. news.sk.24bd@gmail.com : Masud :
  10. netrakonalive@gmail.com : NETRAKONA LIVE : NETRAKONA LIVE
  11. Roshidshahinur@gmail.com : Md Roshid : Md Roshid
  12. mdkayeasahmed@gmail.com : MD KAYEAS AHMED : MD KAYEAS AHMED
আটপাড়ায় ক্লাসরুমে ঘুমাচ্ছেন শিক্ষক, যা জানা গেল- · Netrakona Live
ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আটপাড়ায় ক্লাসরুমে ঘুমাচ্ছেন শিক্ষক, যা জানা গেল-

নেত্রকোণা লাইভ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ফয়সাল চৌধুরী, নেত্রকোণা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—পরীক্ষার সময় শ্রেণিকক্ষে ঘুমাচ্ছেন এক শিক্ষক। তবে ঘটনাটির পেছনে ভিন্ন বাস্তবতা রয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান সরকারি সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থতার কারণে ছুটিতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সংকট দেখা দিলে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তাকে পরীক্ষার ডিউটিতে পাঠানো হয়।

ডিউটির সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি কিছুক্ষণের জন্য চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেন। ঠিক এসময় বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক ভিডিওটি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে শিক্ষক সঞ্জু এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্জু বলেন,

“আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সেদিনও অসুস্থ ছিলাম। কিন্তু স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে আমাকে ডিউটিতে যেতে হয়। শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে কিছু সময় মাথা নিচু করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। সেটিই ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ব্যক্তিগত সম্মান এবং স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি শিক্ষকতা পেশাকে শ্রদ্ধা করি, কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে যাইনি।”

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফার নাসরিন বলেন, “শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অসুস্থ সহকারী শিক্ষককে পরীক্ষার ডিউটিতে পাঠাতে হয়েছিল। যে মুহূর্তটি ভিডিও করে ছড়ানো হয়েছে তা কাম্য নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাবও পাওয়া গেছে।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
    • আপনি কি নেত্রকোণা লাইভ এর নিয়মিত দর্শক..?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    ফজর3:40 am
    জোহর11:58 am
    আসর4:38 pm
    মাগরিব6:44 pm
    ইশা8:12 pm
    সূর্যোদয় - 5:07 amসূর্যাস্ত - 6:44 pm

    আটপাড়ায় ক্লাসরুমে ঘুমাচ্ছেন শিক্ষক, যা জানা গেল-

    প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

     

    ফয়সাল চৌধুরী, নেত্রকোণা

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—পরীক্ষার সময় শ্রেণিকক্ষে ঘুমাচ্ছেন এক শিক্ষক। তবে ঘটনাটির পেছনে ভিন্ন বাস্তবতা রয়েছে।

    সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান সরকারি সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থতার কারণে ছুটিতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সংকট দেখা দিলে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তাকে পরীক্ষার ডিউটিতে পাঠানো হয়।

    ডিউটির সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি কিছুক্ষণের জন্য চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেন। ঠিক এসময় বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক ভিডিওটি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে শিক্ষক সঞ্জু এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।

    এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্জু বলেন,

    “আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সেদিনও অসুস্থ ছিলাম। কিন্তু স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে আমাকে ডিউটিতে যেতে হয়। শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে কিছু সময় মাথা নিচু করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। সেটিই ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ব্যক্তিগত সম্মান এবং স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি শিক্ষকতা পেশাকে শ্রদ্ধা করি, কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে যাইনি।”

     

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফার নাসরিন বলেন, “শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অসুস্থ সহকারী শিক্ষককে পরীক্ষার ডিউটিতে পাঠাতে হয়েছিল। যে মুহূর্তটি ভিডিও করে ছড়ানো হয়েছে তা কাম্য নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”

    তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাবও পাওয়া গেছে।

    Facebook Comments Box