আন্তর্জাতিক

ভারতে নিহত বাংলাদেশির লাশ বিজিবি–বিএসএফ’র মাধ্যমে হস্তান্তর

By MD KAYEAS AHMED

August 17, 2025

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: ভারতের মেঘালয়ে স্থানীয়দের হাতে নিহত হওয়া এক বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ সীমান্ত পথে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার মেইন ফিলার ১১৮৮ সংলগ্ন মহেশখোলা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির উপস্থিতিতে লাশটি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. আকরাম হোসেন (৩২)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় আকরাম হোসেন অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অপহরণের চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। এ সময় গণপিটুনিতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর মেঘালয় পুলিশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রশাসনকে অবহিত করে। পরবর্তীতে ভারতীয় পুলিশ লাশটি বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে। বিজিবি ও বিএসএফ’র সমন্বয়ে লাশ কলমাকান্দা থানার পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত আকরামের ভাই শেখ ফরিদ জানান, “আমার ছোট ভাই আকরামের মৃত্যুর খবর আমি প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজিবি ও ঝিনাইগাতি থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, যাতে আমার ভাইয়ের লাশ দ্রুত দেশে আনা যায়। অবশেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় লাশ বাংলাদেশে ফেরানো হয়েছে। এ জন্য আমি বিএসএফ, বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের পারিবারিক অবস্থা ভীষণ খারাপ, মা শোকে ভেঙে পড়েছেন। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, যেন আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন,

“বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে নিহত বাংলাদেশির লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

সীমান্তে এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দুই দেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সীমান্ত এলাকায় আর কোনো নিরীহ মানুষ এভাবে প্রাণ না হারায়।