ঢাকা

বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেছার প্রতিবাদ

By Mahabub Alam

November 07, 2022

নিজস্ব্ প্রতিবেদক

০২ নভেম্বর, ২০২২ ইং তারিখে দৈনিক শিক্ষা অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘অবৈধ নিয়োগে ১৭ বছর এমপিও ভোগ শিক্ষকের’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ এবং সেই সাথে নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আমি জেবুন্নেছা আক্তার, সহকারী শিক্ষক, (ইসলাম ধর্ম) একজন ধর্মীয় শিক্ষক। আমার নিয়োগ সম্পূর্ণ বৈধ ও সঠিক।

আমার এম.পি.ও বিধি সম্মত ভাবে হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। নিয়োগের সময় প্রতারক শামছুল হক ফরহাদ, বিদ্যুৎসাহী সদস্য থাকায় আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে, আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে এখন পর্যন্ত হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

ইউএনও মহোদয় ও তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুল করিম স্যার কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে এবং সরকারি বিধি মোতাবেক আমাকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন এবং আমি যথাযথ নিয়ম মেনে যোগদান করি। যার তথ্যাবলি অফিসে সংরক্ষিত আছে। পরবর্তীতে বিদ্যুৎসাহী সদস্য শামছুল হক ফরহাদ, কমিটির সদস্য হিসেবে স্কুলে আসার পর ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ইং এর সমস্ত রেজুলেশন খাতা ও অন্যান্য তথ্যাবলি বিদ্যালয় থেকে চুরি করে নিয়ে যায় এর প্রমাণস্বরূপ অত্র বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুল হাই এর লিখিত জবানবন্দি সংরক্ষিত আছে।

২০২১ইং ১৬ই ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবও দেওয়া হয়েছে। আমি ১৭ বছর ধরে অত্র স্কুলে সুনামের সহিত কর্মরত আছি এবং এই ১৭ বছরের মধ্যে কয়েকবার মন্ত্রণালয়ের অডিটও এসেছে। আমার নিয়োগের পর একমাত্র মহিলা শিক্ষক হিসেবে আমিই কর্তব্যরত ছিলাম। উল্লেখ্য যে, ২০১১ ইং থেকে ২০১৪ইং পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধির দায়িত্বও পালন করেছি।

অতএব, আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই আমার নিয়োগ ও যোগদান সম্পূর্ণ বৈধ এতে কোনো সন্দেহ নেই। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে আমাকে বারবার হয়রানি করার চেষ্টা করে আসছে। অভিযোগকারী শামছুল হক ফরহাদ, মূলত তিনি একজন প্রতারক যার নামে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতারণার মামলা চলমান।

নিবেদক- জেবুন্নেছা আক্তার সহকারী শিক্ষক (ইসলাম) বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ।