কাঠের সেতুতে ভাগ্য বদল সাত গ্রামের মানুষের, দাবি পাকা ব্রীজের
হৃদয় আহমেদ, কলমাকান্দা
দীর্ঘদিন ধরে সেতুর অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছিলেন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সাতটি গ্রামের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। অবশেষে সেখানে নির্মিত হয়েছে অস্থায়ী একটি কাঠের সেতু। খালটি পারাপারের জন্য সেই সেতুটিই এখন একমাত্র ভরসা। তবে সরকারের কাছে স্থানীয়দের দাবি সেখানে পাকা ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দুপুরে এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এতে নির্মাণকাজে অর্থায়ন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। এরআগে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের সাঁকোটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর ফলে সাতটি গ্রামের অন্তত চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এখন প্রতিদিন নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাদেও নদের ডাইয়ারকান্দা এলাকায় একটি ছড়ার ওপর সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছিল ডাইয়ারকান্দা, কৃষ্টপুর, বালুচান্দা, শান্তিনগরসহ আশপাশের সাতটি গ্রামের মানুষ। সরকারি দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও স্থায়ী সেতুর ব্যবস্থা না হওয়ায় স্থানীয়দেরকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদ পার হতে হতো। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
পরিস্থিতি অবনতির কথা জানানো হলে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দ্রুত সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত হয় সাঁকোটি।
স্থানীয় বালুচান্দা গ্রামের কয়েক বাসিন্দা বলেন, নদ পারাপারে অনেক ভয় থাকে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যেতে কষ্ট হতো রোগীদের আনা নেওয়া যেত না। এখন কাঠের সেতু নির্মাণে ভয় কমেছে।
এবিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলে সেখানে পানির স্রোত বেশি হয়। ওই জায়গার একটি ফুট ব্রীজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

















