নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর পাওয়া গেল জহিরুল ইসলামের (৩৩) লাশ। অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণ পৌঁছানোর পরও প্রাণে রক্ষা পাননি তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে পরিবারের কাছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। তারা ৬০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠালে জহিরুলকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যরা টাকাটি পাঠান।
কিন্তু টাকা পাঠানোর পরও তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকার একটি সড়কের পাশে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশে আঘাতের চিহ্ন ও নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জহিরুলের ভাই খাইরুল আমিন খান প্রথম আলোকে বলেন, “অপহরণকারীরা আমাদের ফোনে জানায়, জহিরুল অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা বলে, সে মারা গেছে। পরে আমরা খবর পাই সড়কের পাশে তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।”
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও নেত্রকোনা মডেল থানা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
এ ঘটনায় শোকাহত পরিবার দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।