পরিত্যক্ত টয়লেটে ‘শংকরীর’ শিকলবন্দি ২০ বছর
২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত টয়লেটে বন্দি নেত্রকোণার শংকরী গুহ
টাকার অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন এ নারীর ,চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার ভাই। প্রতিবেশীদের অনেকে বলছেন, এক সময়ের মেধাবী এ ছাত্রী ঠিকঠাক চিকিৎসা পেলে ফিরতে পারেন স্বাভাবিক জীবনে।
অন্যান্য সংবাদ- জেলা প্রশাসন নেত্রকোণা কর্তৃক করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণ
শংকরী গুহ একসময়ের মেধাবী এই ছাত্রী বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন। বাবা মারা যাওয়ায় নবম শ্রেণীতে তমকে যায় তার পড়াশোনা। ২০০১ সালে তার নাকে একটি টাউমার ধরা পড়ে, এর পর থেকেই শুরু হয় তার অস্বাভাবিক আচরণ। এক সময়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পেলেন তিনি, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রোগ পায়ে মুটা দরি, কখনো শিকল বেঁধে আটকে রাখা হয় থাকে।
২০১৩ সালে মায়ের মৃত্যুর পর পুরুপুরি বন্দী জীবন শুরু হয় শংকরীর।
বোনের চিকিৎসার কোন ব্যাবস্থা করতে পারেননি সামান্য বেতনে চাকরি করা তার ছোট ভাই, তাই পরিত্যাক্ত টয়লেট এই তার বেঁচে থাকার এক মাত্র আশ্রয়।
অপরিচ্ছন্ন এই টয়লেটে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ২০ বছর। খাওয়া দাওয়া পয় নিষ্কাশন সব এখানেই,
এলাকাবাসী জানান শংকরী মেধাবী ছাত্রী ছিলেন , হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারানোয় থেমে গেছে লেখাপড়া।
এমতাবস্থায় যতাযত চিকিৎসা পেলে পেতে পারেন স্বাভাবিক জীবন; বলেছেন প্রতিবেশীরা।
শংকরী গুহ নেত্রকোণার মেধাবী একজন ছাত্রী – অর্থভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না।
বিষয়টি জেনে শংকরীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে যতাযত সাহায্য করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
দূর্গাপুর পৌর এলাকার আমলা পাড়ার শংকলাল ঘুষের সন্তান সংকরী , বয়স এখন ৪৫ বছর।
কারো সহযোগিতায় শংকরী আবার ফিরে পেতে পারেন স্বাভাবিক জীবন।
দূর্গাপুর প্রতিনিধি “রিফাত আহমেদ রাসেল” এর একাত্তর টিভির রিপোর্ট- ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত টয়লেটে বন্দি নেত্রকোণার শংকরী গুহ https://youtu.be/1F6BIo-C3O4
আরো পড়ুন: এই প্রথম নেত্রকোণায় অসহায় প্রাণীদের নিয়ে কাজ করছে পেট রেস্কিউ টিম