জুম মিটিং

তথ্যপ্রযুক্তি

ইউল্যাবে অপতথ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক অনলাইন সিম্পোজিয়াম

By MD KAYEAS AHMED

October 30, 2021

ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)  এর সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ- এর আয়োজনে ২৮ অক্টোবর ২০২১ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিতহয়ে গেল “এ হিউম্যান রাইটস বেসড অ্যাপ্রোচ টু মিসইনফরমেশন”  শীর্ষক একটি অনলাইন সিম্পোজিয়াম।

Md Kayeas Ahmed

উক্ত সভায় মানবাধিকার কর্মী,  আইনজীবী, শিক্ষাবিদ,  সামাজিক মাধ্যম বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকরা যোগ দেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর অপতথ্যের প্রভাব সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ের ৪০টি নিউজ পোর্টাল থেকে পঞ্চাশেরও বেশি সাংবাদিক সভাটিতে অংশ নেন যারা ফেসবুকের সহায়তায় ইউল্যাব আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে ইতিপূর্বে অংশ নিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া,  অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।  এছাড়া অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের মিসইনফরমেশন প্রোডাক্ট পলিসি ম্যানেজার জেনা হ্যান্ড এবং ফেসবুক বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি প্রধান সাভানাজ রশিদ দিয়া।

আগামী সপ্তাহে নতুন নামে আসছে ফেসবুক

স্বাগত বক্তব্যে ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ইমরান রহমান বলেন,  ইউল্যাব প্রতিটি মানুষের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বিকাশে কাজ করছে।

এই মিশনের অংশ হিসাবে,  ফেসবুক ইউল্যাবের অন্যতম গবেষণা কেন্দ্র সিকিউএস কে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং একটি স্বাস্থ্যকর তথ্য ইকো-সিস্টেম ও নিরাপদ সাইবার জগৎ গড়ে তুলতে তৃণমূল নিউজ পোর্টাল এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করেছে। উক্ত সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া তার মূল বক্তব্যে উল্লেখ করেন,  অপতথ্য বা গুজবের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন, একই সাথে আমাদের বুঝতে হবে ‘মানবাধিকার’ এর অর্থ কি।

আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাজনিত সমস্যাও রয়েছে।  ফলস্বরূপ, গুজব বা অপতথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয় কারণ আমরা সবসময় নিশ্চিত হতে পারি না যে এই গুজবের উৎস কে বা কোথায়।

ইতিপূর্বেঅনেক নিরপরাধ মানুষ, এমনকি যাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই তাদেরও জেলে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আদালত না বলা পর্যন্ত আমরা অপতথ্যের উৎসকে তা বিচার করতে পারি না।

জেনা হ্যান্ড তার বক্তৃতায় স্পষ্ট করেছেন যে, ফেসবুক তিনভাবে অপতথ্যকে মোকাবেলা করে, যথা: সতর্কীকরণ লেভেল দেয়া, বিস্তার কমিয়ে দেয়া এবং সরিয়ে ফেলা।

তিনি বলেন, ফেসবুক এমন সব ভুল তথ্য সরিয়ে দেয় যা আসন্ন শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি, বিভ্রান্তিকর/ বিকৃত কন্টেন্ট এবং যা মানুষকে সহিংস করে তুলতে পারে।

ফেসবুক কোম্পানির নতুন নাম মেটা – Meta

সাভানাজ রশিদ দিয়া বলেন,  প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফেসবুক কার্যত কখনোই সত্য-মিথ্যার সালিশকেন্দ্র হতে পারে না।

ভুলতথ্য/গুজব মোকাবেলায় পুরো সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই কারণে ফেসবুক বাংলাদেশে ভুল তথ্য মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে কাজ করে।

এসময় তিনি আরও বলেন,  মূলধারার মিডিয়ার উচিৎ মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা এবং ভুল তথ্য সনাক্ত করতে সহায়তা করা।

মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজাউর রহমান লেনিন, মুস্তাইন জহির, সাইমুম রেজা তালুকদার, সিমু নাসের এবং ফেরদৌস আরা রুমি।

তাঁরা আলাদাভাবে অংশগ্রহণকারীদের সাথে ছোট ছোট দলে মতবিনিময় করেন। প্রকল্পের প্রধান ড. সুমন রহমান বলেন, ইউল্যাব নভেম্বর ২০২০ থেকে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।  প্রকল্পের অংশ হিসাবে তারা ১৯টি জেলার ৫১টি নিউজ পোর্টালের ৬৭ জন সাংবাদিককে তথ্য পরিবেশনে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা,

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অপতথ্যের প্রভাব, ডিজিটাল মিডিয়া সাক্ষরতা, তথ্য যাচাই এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।