ফিচার

এক অদম্য আসাদুল এঁর গল্প – Netrakona Live

  MD KAYEAS AHMED ২৭ অক্টোবর ২০২২ , সময় : ৮:১৫ মিনিট অনলাইন সংস্করণ

Netrakona Live
এক অদম্য আসাদুল এঁর গল্প

মোঃ খোকন নেত্রকোণা :

নেত্রকোণা জেলার হাওর বেষ্টিত আটপাড়া উপজেলার বিশিউড়া গ্রামে এক অদম্য আসাদুল এঁর জন্ম। জীবনের সকল প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এখন সে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো।

মোঃ আসাদুল আলম এর পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম মোঃ চান মিয়া।মাতার নাম আয়েশা আক্তার।



আসাদুল আলম এর শিক্ষা জীবন শুরু আটপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত বাঁশাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন ।

পরবর্তীতে তার বাবা তাকে ভর্তি করেন স্বরমুশিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীতে।সেখান থেকে তিনি সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে আটপাড়া উপজেলায় টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে প্রথম হন।উক্ত মাদ্রাসায় তিনি অষ্টম শ্রেণি পযর্ন্ত পড়াশোনা করেন।



পরবর্তীতে তিনি দূর্গাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এই বিদ্যলয় থেকে এসএসসি পাশ করেন । তার পর থেকেই তাকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

ময়মনসিংহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজে তার দাদা ভাই তাকে ভর্তি করেন তখন সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দেন তার আম্মা।তিনি আমাদেরকে জানানএক মাস মেসে ছিলাম। পরে আমার সব কিছু নিয়ে মামার বাসায় চলে যাই।



বাসায় সকল কিছুর দায়িত্ব আমাকে দিল আমার মামা আলি আসগর ( বাবলু ) এবং মামিআম্মা ডক্টর মাহমুদা আক্তার। তিনি আরোও বলেন আপনাদের (মামা-মামি)অনুপ্রেরণায় আজ আমি এই পর্যন্ত আসতে পারছি সারা জীবন কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি এবং আমার প্রচেষ্টায় ইন্টার ইমেডিয়েট পাশ করি।

এডমিশন ভর্তি পরিক্ষা দেই.
আমার রেজাল্ট সবাই তো সফল হওয়ার গল্প বলে আমি না হয়!!
আজকে আমার নিজের কিছু কথা বললাম!!
এডমিশন নিয়ে

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল 𝐁𝐔𝐏,𝐅𝐒𝐒𝐒 ইউনিট (সিলেক্টেড ভাইভা হয় নাই)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বি ইউনিট ৬৪ নাম্বার ইংরেজিতে রিটার্নে ৪ নাম্বার পেয়ে ফেইল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘এ’ ইউনিট ১৫৭০ তম। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ‘সি’ ইউনিট ৩৯ তম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বি’ ইউনিট ১১৭৯ তম, ‘ডি’ ইউনিট ৫৮৯ তম
গুচ্ছ রেজাল্টে ৫৮.৭৫ নাম্বার।



অদম্য আসাদুল আলম সর্বশেষ পত্রিকা৭১ কে জানান, এক বুক আশা নিয়ে শুরু করা জার্নি ঠিকঠাকই ছিল।সর্বোচ্চটা না দিতে পারা ও পরীক্ষার আগে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু কারণে ঢাবির পরীক্ষা মনমতো হয়নি।

তবে যেটা হয়েছে এটাও অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার।এরপরে আর পড়াশোনা করিনি,আগের পড়া দিয়েই পরীক্ষা দিয়েছি।কিন্তু সত্যিকার অর্থেই পড়াশোনা কম হয়েছিল।সবগুলো পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, দিলামও।



ঢাবি না হইয়াতে দাদা ভাই বলছে তোর আর কোনো পরিক্ষা দিতে হবে না। আনন্দ মোহন কলেজ ময়মনসিংহ ভর্তি হয়ে পড়াশোনা কর। আমি তাই করলাম আর নিজে নিজে সব গুলো পরিক্ষা দিলাম।
আমি এমন ভাবে কোনো সময় চিন্তা করি নাই রেজাল্ট ভালো করব। কারণ তখন আমি অনেক চাপে ছিলাম,আমার সঙ্গে যে বন্ধু গুলো ছিলো তারা শুধু জানে।



সব কিছুর জন্য আমার বাবা-মার দোয়া এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের দোয়া মহান আল্লাহপাকের রহমতে সফল হয়েছি।
সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ!

Facebook Comments Box

আরও খবর:

Sponsered content