1. arafatrony080@gmail.com : Arafat Rony : Arafat Rony
  2. didargfx@gmail.com : Didar Ahmed : Didar Ahmed
  3. hridoynews3355@gmail.com : Hridoypress : Hridoy Ahmed
  4. jashimshek932@gmail.com : Md Jashim Uddin : Md Jashim Uddin
  5. mahabubalama1993@gmail.com : Mahabub Alam : Mahabub Alam
  6. news.sk.24bd@gmail.com : Masud :
  7. netrakonalive@gmail.com : NETRAKONA LIVE : NETRAKONA LIVE
  8. Roshidshahinur@gmail.com : Md Roshid : Md Roshid
  9. mdkayeasahmed@gmail.com : MD KAYEAS AHMED : MD KAYEAS AHMED
সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা - মায়ের ঘরে তালা
ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা – মায়ের ঘরে তালা

সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা

নেত্রকোণা লাইভ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তানেত্রকোনার মোহনগঞ্জে  সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা,

 

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সৈয়দা সুমেনা (৬৫) নামে এক নারীকে

বিভিন্ন কৌশলে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া ও তার স্বামীর দিয়ে যাওয়া





জায়গা ভোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার সৎ ছেলেদের বিরুদ্ধে।

সুমেনা আক্তার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে প্রায় 40 বছর আগে বাহাম গ্রামের

বীর মুক্তিযুদ্ধা ফজলুর রহমান খান তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন সৈয়দা মুমেনাকে‌।

প্রথম স্ত্রীর- আব্দুর রহিম খান লিটন (৫৮) , লুৎফুর রহমান খান স্বপন (৪৮) ও ফারজানা আক্তার নামে  (৪৩) এক মেয়ে রয়েছে।

পরে সৈয়দা মুমেনার ঘরে আরো দুই মেয়ের জন্ম হয়। উভয় পক্ষের তিন মেয়েই স্বামীর সংসার করছে।

এক মূহুর্তেই পাল্টে গেলো সব, অদ্ভুত জীবন আমাদের !



 

২০১৭ সালের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান মৃত্যু বরণ করেন।

মৃত্যুর বহু পূর্বে তিনি তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মুমেনাকে বসতবাড়ি সহ ১০ শতাংশ ও পাশে

আরো ৩৮ শতাংশ জমি সাব- রেজিস্ট্রি করে লিখে দিয়ে যান।

এসব নিয়ে ঝামেলা শুরু করেন দুই সৎ ছেলে।

প্রথমে ঘরে আটকে জোর করে বাড়ি ও জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা।

তাদের নামে লিখে না দেওয়ায় সুমেনাকে প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়।

তিনি বলেন, আমি বিয়ে হয়ে এসে ওই দুই ছেলেকে ৫/৭ বছরের পেয়েছি।

আর মেয়েটা তো ২/৩ মাসের ছিল।

তাদেরকে মায়ের মতো আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি।

স্বামীর পেনশনের সামান্য ভাতা দিয়ে আমরা কোন রকম কায়ক্লেসে দিন যাপন করেছি।

তার পরেও আমার সৎ ছেলেদের পড়াশোনা থামিয়ে রাখিনী।





এদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি।

বড় ছেলে ( আব্দুর রহিম খান লিটন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর প্রাপ্ত, আর ছোট ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ এর এ এসে আই ( লুৎফুর রহমান খান স্বপন) ।

সেই ছেলেই এখন তার ক্ষমতা দেখিয়ে আমার জমি, আমাকে ভোগ করতে দেয় না।

আমাকে কোথাও বর্গা দিতে দেয় না। যার কাছে দিতে চাই ভয়-ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয়।

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ হাজারে উন্নতি হচ্ছে : নেত্রকোণা লাইভ

আমি বয়ঃ বৃদ্ধা অসহায় মহিলা, নিয়মিত অনেক ঔষধ খেতে হয়।

এমতাবস্থায় আমি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি

এবং অনেক অসুস্থ হয়ে যাই।

সু- চিকিৎসার জন্য বাবার বাড়িতে, গিয়ে আশ্রয় নিলে শুরু হয় করোনার পদুর্ভাব ।



এরই ফাঁকে তারা আমার ঘরটি দুই-দুই তালা ভেঙ্গে ঢুকে,

আমার ঘরের জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে ও মূল্যবান কাগজ পত্রাদি সরিয়ে ফেলে এবং অন্য তালা লাগিয়ে চলে যায়।

 

নিজের ঘরে ঢুকতে না পেরে আত্মীয়র বাসায় থেকে বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ধারে ধারে ঘুরে বেড়ান সুমেনা।

 

তাদেরই বোন ফারজানাকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার অংশ না দেওয়ায় ফারজানা তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা দেয়

এবং মামলা টি অপমান এর ঐ যে দূরে আব্দুর রহিম খান লিটন ও লুৎফুর রহমান খান স্বপন মিলে

আমার অংশের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করার বন্দোবস্ত করে এবং কয়েক মাস বন্ধ ছিল।

তাদের নামে জমি লিখে না দেওয়ায় এতে ব্যর্থ হয় কৌশলে মাকে বাড়িছাড়া করতে শত্রভাবা পন্ন প্রতিবেশী এক গ্রামে বসবাস কারী বুলবুল মিয়া গং দ্বারা ,

একা বাড়িতে থাকা সুমেনাকে ভয়ভীতি দেখায় , রাতে টিনের চালে ঢিল ছাড়ে গাছ গাছালি কেটে ফেলা ও অশ্রব্য ভাষায় গালমন্দ করে হয়রানি করে।

 

এসব বিষয় নিয়ে মোহনগঞ্জের থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন এবং ওদের কাছে যান সুমেনা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মাহবুব বলেছেন, যেহেতু বিষয়টি আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের,

তাই আমরা চেয়েছিলাম আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বসে সমাধান করে ফেলব সভায় বসেছিলেন

কিন্তু ছেলেরা আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।



Subscribe Youtube Channel

-সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা…….

ধূসর কাব্যিক দিদার আহমেদ এর ক বি তা ” পারবতী ”

HOME

# সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

আপলোডকারীর তথ্য

MD KAYEAS AHMED

মোঃ কায়েশ আহমেদ নেত্রকোণার কলমাকান্দার একজন সমাজসেবক, প্রযুক্তি শিক্ষার্থী ও তরুণ সাংবাদিক। তিনি “স্বপ্নপুরী মানবকল্যাণ সংস্থা” ও “নেত্রকোণা লাইভ”-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। অসহায়দের সেবা, রক্তদান, খাদ্য বিতরণ, শিশু উদ্ধার ও তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতায় তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২৫ সালে রাষ্ট্রপতি ভিডিপি (সেবা) পদক পান। বর্তমানে তিনি ঢাকায় নর্দান ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ছেন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজসেবা ও সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
    • আপনি কি নেত্রকোণা লাইভ এর নিয়মিত দর্শক..?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    ফজর3:40 am
    জোহর11:58 am
    আসর4:38 pm
    মাগরিব6:44 pm
    ইশা8:12 pm
    সূর্যোদয় - 5:07 amসূর্যাস্ত - 6:44 pm

    সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা – মায়ের ঘরে তালা

    প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

    তানেত্রকোনার মোহনগঞ্জে  সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা,

     

    নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সৈয়দা সুমেনা (৬৫) নামে এক নারীকে

    বিভিন্ন কৌশলে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া ও তার স্বামীর দিয়ে যাওয়া





    জায়গা ভোগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার সৎ ছেলেদের বিরুদ্ধে।

    সুমেনা আক্তার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে প্রায় 40 বছর আগে বাহাম গ্রামের

    বীর মুক্তিযুদ্ধা ফজলুর রহমান খান তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন সৈয়দা মুমেনাকে‌।

    প্রথম স্ত্রীর- আব্দুর রহিম খান লিটন (৫৮) , লুৎফুর রহমান খান স্বপন (৪৮) ও ফারজানা আক্তার নামে  (৪৩) এক মেয়ে রয়েছে।

    পরে সৈয়দা মুমেনার ঘরে আরো দুই মেয়ের জন্ম হয়। উভয় পক্ষের তিন মেয়েই স্বামীর সংসার করছে।

    এক মূহুর্তেই পাল্টে গেলো সব, অদ্ভুত জীবন আমাদের !



     

    ২০১৭ সালের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান মৃত্যু বরণ করেন।

    মৃত্যুর বহু পূর্বে তিনি তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মুমেনাকে বসতবাড়ি সহ ১০ শতাংশ ও পাশে

    আরো ৩৮ শতাংশ জমি সাব- রেজিস্ট্রি করে লিখে দিয়ে যান।

    এসব নিয়ে ঝামেলা শুরু করেন দুই সৎ ছেলে।

    প্রথমে ঘরে আটকে জোর করে বাড়ি ও জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা।

    তাদের নামে লিখে না দেওয়ায় সুমেনাকে প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়।

    তিনি বলেন, আমি বিয়ে হয়ে এসে ওই দুই ছেলেকে ৫/৭ বছরের পেয়েছি।

    আর মেয়েটা তো ২/৩ মাসের ছিল।

    তাদেরকে মায়ের মতো আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি।

    স্বামীর পেনশনের সামান্য ভাতা দিয়ে আমরা কোন রকম কায়ক্লেসে দিন যাপন করেছি।

    তার পরেও আমার সৎ ছেলেদের পড়াশোনা থামিয়ে রাখিনী।





    এদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি।

    বড় ছেলে ( আব্দুর রহিম খান লিটন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর প্রাপ্ত, আর ছোট ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ এর এ এসে আই ( লুৎফুর রহমান খান স্বপন) ।

    সেই ছেলেই এখন তার ক্ষমতা দেখিয়ে আমার জমি, আমাকে ভোগ করতে দেয় না।

    আমাকে কোথাও বর্গা দিতে দেয় না। যার কাছে দিতে চাই ভয়-ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয়।

    মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ হাজারে উন্নতি হচ্ছে : নেত্রকোণা লাইভ

    আমি বয়ঃ বৃদ্ধা অসহায় মহিলা, নিয়মিত অনেক ঔষধ খেতে হয়।

    এমতাবস্থায় আমি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি

    এবং অনেক অসুস্থ হয়ে যাই।

    সু- চিকিৎসার জন্য বাবার বাড়িতে, গিয়ে আশ্রয় নিলে শুরু হয় করোনার পদুর্ভাব ।



    এরই ফাঁকে তারা আমার ঘরটি দুই-দুই তালা ভেঙ্গে ঢুকে,

    আমার ঘরের জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে ও মূল্যবান কাগজ পত্রাদি সরিয়ে ফেলে এবং অন্য তালা লাগিয়ে চলে যায়।

     

    নিজের ঘরে ঢুকতে না পেরে আত্মীয়র বাসায় থেকে বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ধারে ধারে ঘুরে বেড়ান সুমেনা।

     

    তাদেরই বোন ফারজানাকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার অংশ না দেওয়ায় ফারজানা তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা দেয়

    এবং মামলা টি অপমান এর ঐ যে দূরে আব্দুর রহিম খান লিটন ও লুৎফুর রহমান খান স্বপন মিলে

    আমার অংশের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করার বন্দোবস্ত করে এবং কয়েক মাস বন্ধ ছিল।

    তাদের নামে জমি লিখে না দেওয়ায় এতে ব্যর্থ হয় কৌশলে মাকে বাড়িছাড়া করতে শত্রভাবা পন্ন প্রতিবেশী এক গ্রামে বসবাস কারী বুলবুল মিয়া গং দ্বারা ,

    একা বাড়িতে থাকা সুমেনাকে ভয়ভীতি দেখায় , রাতে টিনের চালে ঢিল ছাড়ে গাছ গাছালি কেটে ফেলা ও অশ্রব্য ভাষায় গালমন্দ করে হয়রানি করে।

     

    এসব বিষয় নিয়ে মোহনগঞ্জের থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন এবং ওদের কাছে যান সুমেনা।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মাহবুব বলেছেন, যেহেতু বিষয়টি আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের,

    তাই আমরা চেয়েছিলাম আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বসে সমাধান করে ফেলব সভায় বসেছিলেন

    কিন্তু ছেলেরা আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।



    Subscribe Youtube Channel

    -সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা…….

    ধূসর কাব্যিক দিদার আহমেদ এর ক বি তা ” পারবতী ”

    HOME

    # সৎ ছেলেদের অত্যাচারে নির্যাতিত মা

    Facebook Comments Box