অর্থনীতি

মানসিক ভারসাম্যহীন খারিদুলের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক

  MD KAYEAS AHMED ১৭ মার্চ ২০২২ , সময় : ১২:৫৪ মিনিট অনলাইন সংস্করণ

Md Kayeas Ahmed

নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ

মানবিক এবং জনবান্ধব জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান এর উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার সুুুযোগ ও সহায়তায় পান- মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী খারিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ মিয়া (১৮) নামের এক শিশু।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মোঃ আলাল উদ্দিন খারিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদের চিকিৎসা জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা ও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন।

মানসিক ভারসাম্যহীন খারিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ময়মনসিংহ জেলার মুকটুলা গ্রামের মৃত. ইন্নছ আলী ছেলে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রবেশন কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মোঃ জালাল উদ্দীন সহ, নেত্রকোণা লাইভ নামে অনলাইন পেইজের সম্পাদক মোঃ কায়েশ আহমেদ এবং লালন -পালনকারী মজনু মিয়া প্রমুখ।

এসময় মোঃ কায়েশ আহমেদ কে খারিদুলের জন্য তহবিল গঠন করার জন্য নির্দেশ দেন। তলবিল গঠনের সকল কাজে সহযোগিতা করবেন জেলা/ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা।

অসহায়দের পাশে মানবকল্যাণ ফোরাম,,, ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন

জানা যায় যে,  প্রায় আড়াই বছর যাবত সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ায় নিখোঁজ ছিলেন , নিজ এলাকা ছেড়ে ৬ মাস আগে কলমাকান্দা উপজেলার ৭ কৈলাটি ইউনিয়নের সেহরাউন্দ গ্রামে ঘুরাঘুরি করছিল তখন ঐ এলাকার মজনু মিয়া নামের এক ব্যাক্তি তাকে আশ্রয় দেয় এবং পরিবারের একজনের মতো দেখাশুনা করে এসেছে ।

তাছাড়া ও তাকে মানসিক ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করেছেন ছেলেটি বাবা- মা ও দেখার মতো কেউ না থাকায় মজনু মিয়া তাকে নিজের কাছে রেখে দেন কিন্তু উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না তাই নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের দারস্থ হোন।

জেলার সমাজসেবার উপ-পরিচালক জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ও সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে এবং মজনু মিয়ার অধীনে থেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে এবং দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

এদিকে মজনু মিয়া বলেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ জেলা প্রশাসক মহোদয়কে।

আমি প্রায়ই দেখি জেলা প্রশাসক মহোদয় বিভিন্ন মানব সেবা দিয়ে আসছেন আমিও সেই আশায় এসেছি আমাকে ও তিনি ফিরিয়ে দেননি আর্থিক সহায়তা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন । আমি চাই সে যেন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়।

তিনি আরও বলেন, আমি সামান্য একজন কৃষক তবুও তাকে সারা জীবন আমার কাছে রাখতে রাজি আছি।

Netrakona Live

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে মজনু মিয়ার হাঁসি

( Md Kayeas Ahmed – click)

 

Facebook Comments Box

আরও খবর:

Sponsered content